আমরা সবাই ভীষণ একা । আমরা সারা জীবন ধরে শুধু সেই একাকিত্ব টা কাটানোর চেষ্টা করি। যে মানুষ টা সুখে সংসার করছে বা যারা সুখে প্রেম করছে, তারাও কি একটা জায়গায় ভীষণ নিঃসঙ্গ নয়? একজন বাবা হিসাবে যে মানুষটি ভীষণ সুখী সেই মানুষটি হয়ত নিজের কাছে ভীষণ একা । তিনি তার সংসার, স্ত্রী, পুত্র সবাইকে সময় দেন কিন্তু নিজের জন্য তিনি কতটা সময় দেন? যাদের প্রেম দেখে অনেকে হিংসা করে তারা হয়ত একে অপরের কাছে সুখী কিন্তু নিজের কাছে তারাও ভীষণ একলা । এখন দেখি অনেকের status যদি single থাকে সেটা নিয়ে আমরা অনেক সময় অনেক ধরনের মন্তব্য করি, কিন্তু যদি আমরা একটু সময় নিজের জন্য ভাবি তাহলে এটা খুব সহজেই বুঝতে পারব আমরা প্রত্যেক টা মানুষ কতটা একা । আমরা জানি জন্ম মৃত্যু এটা আমরা কিছু করতে পারব না, কিন্তু এটা কখনই ভাবার চেষ্টা করি না আমদের জন্ম কোন কাজের জন্য হয়েছে । প্রত্যেক জিনিসের একটা লক্ষ্য থাকে । তাহলে আমাদের প্রত্যেকের জীবনের একটা লক্ষ্য আছে । অথচ আমরা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একটা বেঁধে দেওয়া পটে চলছি । জন্ম -> পড়াশোনা -> চাকরি/ব্যবসা -> বিবাহ -> সংসার -> ........... -> মৃত্যু । এইরকম ক
ফাইল ভর্তি বায়োডাটা আর ডিগ্রী , গায়ে ইস্ত্রী করা জামা প্যান্ট । একটার পর একটা interview , আর একটু একটু করে বাড়তে থাকা হতাশা । গরমে শরীর ভিজে চুপ চুপ, তবুও জামার একটা বোতাম খোলা যাবে না. এটা তো নিয়মের বাইরে । চারিদিকে কেবল বার্থতার অভিজ্ঞতা, চারিদিকে কেবল করুনা আর উপদেশ । চাকরি পেতে গেলে বায়োডাটা ই অস্ত্র. কিন্তু, সত্যি কি ওই বায়োডাটা তে লেখা আছে আমি কেমন !? আমার ডিগ্রী গুলো হয়ত আছে, কিন্তু সেটা তো সম্পূর্ণ আমি নই । আমার ভালো লাগে .... মাটির রাস্তা, সবুজ মাঠ, বিকেলের সোনালী রোদ এগুলো কিন্তু আমার বায়োডাটা তে নেই. আমার ভালো লাগে ঠান্ডা হাওয়ায় ঘাসের উপর বসে একা একা রাত্রের আকাশ দেখতে । এটাও লেখা নেই ওখানে. আমার এই ইস্ত্রী করা জামা প্যান্টের ভেতর যে মানুষ টা আছে তার পুরোটা লেখা নেই ওই বায়োডাটা র ফাইলে . ওখানে সাজানো আছে কেবল কিছু ডিগ্রী ওখানে নেই আমার প্রিয় মুহূর্ত গুলো.... ওখানে নেই আমার স্বপ্নগুলো.... তবুও একটা চাকরির জন্য, সামাজিক মর্যাদার জন্য, এখনো ভরসা করতে হবে ওই বায়োডাটা র উপরেই ।
Comments
Post a Comment